একা থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়

হার্ট এটাকের লক্ষণঃ

এখন প্রথমেই যেই কথাটা মাথায় আসে বুঝবো কী করে যে হার্ট এটাক হয়েছে কিনা। হার্ট এটাকের ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নলিখিত ব্যাপারগুলো চোখে পড়েঃ


১. বুকের মাঝে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা কিংবা বুকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা ক্রমেই শরীরের নানা অংশে যেমন বা হাতের দিক দিয়ে ছড়িয়ে পড়া।
২. পেটের উপরের দিকে তুলনামূলক লম্বা সময় ধরে ব্যথা অনুভব করা।
৩. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মূর্ছা যাওয়া।
৪. অস্বস্তিকর চাপ কিংবা বুকে ব্যথার কারণে ঘামতে থাকা।
এখানে লক্ষণীয় যে হার্ট এটাকে শুরু হওয়া বুকের ব্যথা ১৫ মিনিট অবধি থাকতে পারে।

মনে রাখবেন, বুক ব্যাথা শুরু হয়ে এটি চোয়াল, হাতের দিকে এবং পশ্চাৎ দিকে ধাবিত হয়। লক্ষণগুলো বোঝার সাথে সাথে ডাক্তারের সরণাপন্ন হওয়া উচিত। নয়তো জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা বাড়বে।

এমতাবস্থায় করণীয়ঃ
রোগী যদি একা থাকে এবং হার্ট এটাকের লক্ষল দেখা দেয় তখন কী করনীয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যেটা করবেন তা হচ্ছে জোরে জোরে কাশি দিবেন। জোরে জোরে কাশি দিলে হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল কিঞ্চিত বেড়ে যায়।

- লম্বা করে শ্বাস নিন। এবার কাশুন। লম্বা সময় নিয়ে দীর্ঘ কাশি দিন। এর ফলে আপনার ফুসফুসে স্পাটাম/মিউকাস উৎপন্ন হবে।

- হার্ট এটাক হয়েছে ধরতে পারলে তাৎক্ষণিক এসপিরিন/ ওয়ারফেরিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিন । এতে রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ হবে।

-জিহবার নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে দিতে হবে।

-কাছাকাছি অবস্থান করছে এমন কাউকে ফোন করুন এবং আসতে বলুন।

প্রতিরোধ কি ?

১.ধুমপান না করা
২.মাদক থেকে দূরে থাকা
৩.দুশ্চিন্তা না করা
৪.রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা
৫.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন
৬.কলেস্টেরন নিয়ন্ত্রন
৭.চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া
৮.শাকসবজি – ফল বেশি খাওয়া
৯.দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা
১০.প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা । অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা

Post a Comment

0 Comments