মাইগ্রেন সমস্যার কারণ ও প্রতিকার

মাইগ্রেন কী?
মাইগ্রেন শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘হেমিক্রানিয়া’ থেকে, যার অর্থ মাথার একদিকে ব্যথা। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের প্রাচীন মিশরের একটি প্যাপিরাসে প্রথম মাইগ্রেনের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, এটি মাইগ্রেন সম্পর্কিত সবচেয়ে পুরাতন দলিল। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫% মাইগ্রেনে আক্রান্ত।

মাইগ্রেন মূলত একধরনের মাথাব্যথা। তবে সাধারণ মাথাব্যথার থেকে মাইগ্রেনের পার্থক্য হলো মাইগ্রেনে ব্যথা হয় মাথার একদিকে। অর্থাৎ মাইগ্রেনের আক্রান্ত হলে আপনার মাথার বাম কিংবা ডানদিকে ব্যথা হবে, আর অন্যদিকে তেমন কোনো ব্যথাই অনুভব করবেন না। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে শব্দ, আলো এবং গন্ধের প্রতি সহনশীলতা কমে যায়। খুব অল্প শব্দ বা আলোয় অসহ্য অনুভূতি হয়। ধারণা করা হয়, মস্তিষ্কের স্নায়ু থেকে উৎপত্তি হয়ে রক্তনালীতে ছড়িয়ে পড়ে মাইগ্রেনের ব্যথা। তবে মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য মূলত কোনটি দায়ী সেটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকে স্নায়ুকে মূলত দায়ী করে থাকেন, আবার অনেকে রক্তনালী মূল ভূমিকা পালন করে থাকে বলে দাবী করেন।

বয়ঃসন্ধির পূর্বে মেয়েদের থেকে ছেলেদের মাইগ্রেন হবার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও পরবর্তীতে ছেলেদের থেকে ২-৩ গুণ বেশি মেয়েদের মাইগ্রেন হয়। আবার অনেক মেয়েদের ক্ষেত্রে রজঃচক্র শেষ হবার পর মাইগ্রেনে আক্রান্ত হবার হার অনেক কমে যায় বলেও দেখা গেছে। তবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মধ্যবয়সে (৩৫-৪০ বছর) মাইগ্রেনে আক্রান্ত হবার হার অন্য বয়সের থেকে অনেক বেশি।

মাইগ্রেনের কারণ?
ঠিক কী কারণে মাইগ্রেন হয় তা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় জেনেটিক ও পরিবেশগত কারণে মাইগ্রেন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তির বংশে মাইগ্রেনে আক্রান্ত অন্য কেউ রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাব রয়েছে বলেও কিছু গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সে নারী-পুরুষের আক্রান্ত হবার হারের পার্থক্য তারই সাক্ষ্য দেয়।

এর বাইরেও বিকট শব্দ, তীব্র আলো, প্রচন্ড গরম কিংবা বিশেষ কিছু খাবারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপে থাকার কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। এগুলোকে বলা হয়ে থাকে ‘ট্রিগার’। সবার ক্ষেত্রে ট্রিগার এক হয় না সাধারণত। একজনের জন্য যা ট্রিগার হিসেবে কাজ করে অন্যজনের জন্য হয়তো সেটি ট্রিগার নয়।

মাইগ্রেনের লক্ষণ
মাইগ্রেনের মূল লক্ষণ মাথার এক দিকে ব্যথা হলেও ব্যথা শুরুর আগে থেকেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় অনেকের ক্ষেত্রে। আবার মাইগ্রেনের তীব্রতার উপরও লক্ষণের পার্থক্য দেখা যায়। অনেকের মাইগ্রেনের মূল ব্যথা শুরু হবার আগে আলো কিংবা শব্দের প্রতি সহনশীলতায় পরিবর্তন দেখা যায়। সাধারণ অবস্থায় যে শব্দ বা আলো সহজেই সহ্য করতে পারেন, মাইগ্রেনের আক্রমণের আগে আগে সহ্য ক্ষমতা হঠাৎ করে কমে যেতে পারে। অনেকে চোখে আলোর ঝলকানিও দেখতে পারেন। তবে সবার এরকম হয় না। মাইগ্রেনের সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো-

  • বমি বমি ভাব
  • বমি
  • চোখে ব্যথা
  • আলো, শব্দ ও গন্ধের প্রতি সহনশীলতা কমে যাওয়া
কোনো ব্যক্তি মাইগ্রেনে আক্রান্ত কিনা সেটির জন্য কোনো পরীক্ষা করানো হয় না। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পূর্বের ইতিহাস থেকে বিবেচনা করতে হয় ব্যক্তিটি মাইগ্রেনে আক্রান্ত কিনা, বিশেষ করে যদি ব্যথার আগে আলোর ঝলকানি কিংবা অন্য কোনো লক্ষণ দেখা না যায়। আন্তর্জাতিক মাথাব্যথা সোসাইটির তথ্যানুযায়ী নিচের লক্ষণগুলো থেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত কিনা-

  • আলোর ঝলকানি ছাড়া ৫ বার কিংবা তার বেশি অথবা আলোর ঝলকানি সহ দু’বারের বেশি ব্যথা
  • ব্যথা ৪ ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত থাকা
  • ব্যথার সময় যেকোনো দুটি-
                     
                      -মাথার একদিকে ব্যথা
                              -মাথা দপদপ করা
                        -তীব্র ব্যথা
                        -সাধারণ কাজকর্মে অসুবিধা হওয়া ও কাজ করতে না পারা

  • ব্যথার সময় নিচের যেকোনো একটি-
-বমি হওয়া কিংবা বমি বমি ভাব হওয়া
-আলো ও শব্দে সমস্যা হওয়া
কারো সাথে যদি এর সবগুলোই মিলে যায়, তাহলে তার মাইগ্রেন হবার সম্ভাবনা ৯২%। সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।

প্রতিকার
মাইগ্রেনের সমস্যা চিরতরে দূর করার কোনো উপায় এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে ব্যথা হলে ব্যথা কমানোর জন্য বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে। ব্যথার তীব্রতার উপর নির্ভর করে পেইনকিলার নেয়া যেতে পারে। সাধারণ প্যারাসিটামলেও অনেকের কাজ হতে পারে, তবে ব্যথা তীব্র হলে ওষুধের তীব্রতাও বাড়াতে হবে। কোন ওষুধ খাওয়া উচিৎ সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রকার ওষুধ খাওয়া উচিৎ না। মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য ডাক্তাররা সাধারণত ব্যথা হলে কোন ওষুধ খেতে হবে আগেই বলে দেন। সুতরাং সে অনুযায়ী চললেই হবে।



ব্যথা তীব্র হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরী;
তবে ওষুধের পাশাপাশি মাইগ্রেনের ব্যথার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যথাসম্ভব অন্ধকার ও শব্দবিহীন পরিবেশে ঘুমানো, অন্তত কয়েক ঘন্টা। যেহেতু মাইগ্রেনের ব্যথায় আলো ও শব্দের (অনেক ক্ষেত্রে গন্ধেরও) প্রতি সহনশীলতা অনেক কমে যায়, সেক্ষেত্রে খুব অল্প শব্দ বা আলোতেও ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। বাসায়, হোস্টেলে বা অফিসে অনেকেই আলো বা শব্দের প্রতি সমস্যাটি বোঝেন না, ফলে মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেক ভুগতে হয়। আপনার বাসার বা হোস্টেলের লোকদের আগে থেকেই এ ব্যাপারে জানিয়ে রাখুন। অফিসে বা ক্লাসে থাকলে ছুটি নিয়ে বাসায় গিয়ে ঘুম দিন যদি সম্ভব হয়। নিজের ও পরিবারের অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, শুধু ওষুধ খেয়ে ঘুম ছাড়া ব্যথা পুরোপুরি ভালো হবার সম্ভাবনা কম। সাময়িক কমলেও কয়েক ঘন্টা পর আবার ব্যথা শুরু হতে পারে।

প্রতিরোধ
যেকোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি জরুরি। মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথার অভিজ্ঞতা যাদের রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই তারা ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর চেয়ে ব্যথা যেন একেবারেই না হয় সেটিরই চেষ্টা করেন। মাইগ্রেন যেন বারবার ফিরে না আসে সেজন্য ডাক্তাররা ওষুধ দেন। বয়সের সাথে মাইগ্রেনের তীব্রতা বা ঘন ঘন আক্রমণ কমে গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সারাজীবন মাইগ্রেনের ব্যথা হবার ভয় থেকেই যায়। কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই একটু নিয়মানুবর্তী হলেই মাইগ্রেনের আক্রমণ অনেকটা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক মাইগ্রেন প্রতিরোধের কিছু উপায়।



মাইগ্রেনের প্রতিরোধ বেশি জরুরী;
প্রথমেই আপনাকে শনাক্ত করতে হবে আপনার ট্রিগারগুলো। আগেই বলা হয়েছে সবার ট্রিগার একরকম নয়, সুতরাং আপনাকে নিজে থেকেই খুঁজে বের করতে হবে আপনার মাইগ্রেনকে ট্রিগার করছে কোন কোন ব্যাপারগুলো। সেটি হতে পারে কোনো খাবার, হতে পারে আবহাওয়ার কোনো পরিবর্তন কিংবা কোনো বিকট শব্দ। এজন্য আপনি একটি ডায়েরি বা নোটবুকে আপনার প্রতিদিনের খাবার, কোথায় কোথায় গিয়েছেন এ ব্যাপারগুলো লিখে রাখতে পারেন। এরপর ব্যথা হলে আপনি খেয়াল করতে পারবেন ব্যথার আগে আগে কোন ব্যাপারগুলো প্রতিবার মিলে যায়। সবসময় একই কারণে মাইগ্রেন সৃষ্টি হবে তা-ও না। একসাথে অনেকগুলো কারণ মিলেও মাইগ্রেনের আক্রমণ করতে পারে। সুতরাং ব্যথার আগে নিজের কাজকর্মগুলো মিলিয়ে দেখা জরুরী।

একেকজনের ট্রিগার একেকরকম হলেও সবার ট্রিগারগুলোর মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে। যেমন শব্দ বা আলো অনেকের মাইগ্রেন ট্রিগার করে, তবে শব্দ বা আলোর তীব্রতায় ভিন্নতা থাকতে পারে। সুতরাং তীব্র শব্দ বা আলোতে যাবার আগে সাবধান থাকাটাই ভালো। কনসার্ট, থিয়েটার কিংবা স্টেডিয়ামের আলো বা শব্দ আপনার ট্রিগার হতে পারে। রাতে গাড়ি চালানোর সময় সামনের গাড়ির আলোও হতে পারে আপনার ট্রিগার। সতর্ক থাকুন আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। প্রচন্ড গরম কিংবা শীত হতে পারে ট্রিগার। সুতরাং নিজের ব্যাপারে নিজেকেই সাবধান হতে হবে, জেনে নিতে হবে নিজের ট্রিগারকে।

বিভিন্ন খাবার অনেক সময় ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। রেড ওয়াইন, সিগারেট, পুরোনো পনির, কৃত্রিম মিষ্টিকারক, দুগ্ধজাত খাবার, চকলেট মাইগ্রেনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে এগুলো আপনার যত পছন্দেরই হোক না কেন, আপনার উচিৎ হবে এসব খাওয়া বাদ দেয়া। একেবারেই বাদ দিতে না পারলে অন্তত পরিমিত পরিমাণে খাবার চেষ্টা করা উচিৎ। তবে উল্লেখিত খাবারগুলোর বাইরেও অন্য খাবার আপনার ট্রিগার হতে পারে। তাই ব্যথার আগে আগে কোন খাবার খেয়েছেন সেটি লিখে রাখুন এবং ব্যথার পর মিলিয়ে দেখুন প্রতিবার।



মাইগ্রেনের ব্যথা থাকলে খাবারের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে;
হরমোনের পরিবর্তনের সময়ও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে দেখা যায়, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। রজঃচক্রের আগে বা সময় মেয়েদের মাইগ্রেনে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়া হরমোন পরিবর্তন করে এরকম ওষুধ খেলেও মাইগ্রেনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থাতেও মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে ঘন ঘন। সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে প্রথমেই মাইগ্রেনের ব্যাপারে জানিয়ে রাখা দরকার।

অতিরিক্ত কাজের চাপ কিংবা দুশ্চিন্তার কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। কাজ জমিয়ে রেখে রাত জেগে কাজ করার চেয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে কাজ এগিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি আপনার মাইগ্রেন থেকে থাকে। তা না হলে একরাত কাজ করে পরের দিন কাজ জমা দিতে যাবার সময় কিংবা পড়া জমিয়ে রেখে পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে পরীক্ষার হলে মাইগ্রেনের শিকার হতে পারেন। কোনো সমস্যায় পড়লে দুশ্চিন্তা না করে পরিচিত ও কাছের মানুষদের সাথে আলোচনা করুন কিভাবে সমস্যার সমাধান আসতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তা থেকেও মাইগ্রেন হতে পারে।

এসবের বাইরে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়মানুবর্তী থাকা। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের জন্য নিয়মিত খাওয়া ও ঘুমানো খুবই জরুরী। এক বেলার খাবার বাদ দেয়া বা রাত জাগা মাইগ্রেনে আক্রান্তদের জন্য নিষিদ্ধ বস্তুর পর্যায়ে পড়ে। কাজের চাপে পড়ে এক বেলা না খেয়ে থাকার চেয়ে অন্তত একটি বিস্কুট খান। ‘কুলনেস’ দেখাতে গিয়ে রাত জেগে মজা করতে গিয়ে মাইগ্রেন হবার চেয়ে ‘ক্ষ্যাত’ হিসেবে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাইগ্রেনে আক্রান্ত হবার মানে অন্তত একটি দিন পুরোপুরি নষ্ট, ব্যথা বেশি হলে একের বেশি দিনও নষ্ট হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুমানো থেকেও মাইগ্রেন হতে পারে। সুতরাং ঘুমানোর ব্যাপারে একটি রুটিন মেনে চলা সবচেয়ে ভালো।

মাথাব্যথা সবার হলেও মাইগ্রেনের তীব্রতা বেশিরভাগ মানুষকেই সহ্য করতে হয় না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখা, অনেকে মাইগ্রেনের ব্যথাকে টিটকারি মেরে উড়িয়ে দেবার চেষ্টাও করে ‘মাথাব্যথা তো সবারই হয়’ বলে! কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথা যে সাধারণ মাথাব্যথা নয় আর এটি যে জীবন্ত অবস্থায় নরকের শাস্তির মতো, সেটি মাইগ্রেনে আক্রান্ত যে কেউ বিনা বাক্যে মেনে নেবেন। মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকার জন্য খাবার আর ঘুমের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে, তীব্র আলো কিংবা শব্দ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে, নিজের ট্রিগার খুঁজে বের করতে হবে। সেই সাথে নিজের সুবিধার জন্যই আশেপাশের মানুষকে মাইগ্রেনের ব্যাপারে সচেতন করাটাও অত্যন্ত জরুরী।

Post a Comment

0 Comments